১৭ মার্চ, ২০১৪
Facebook এর সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব ঘোষণা করার পর থেকে, এই খবরটি নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে যে আমরা পুলকিত। একটি কোম্পানি হিসেবে আমরা আরও কত মানুষকে তার বন্ধু ও পরিবারের কাছে থাকতে সাহায্য করতে পারব সে নিয়ে আমরা উৎসাহী, তারা যেখানেই থাকুক না কেন।
দুর্ভাগ্যবশত, WhatsApp এর ব্যবহারকারীর ডেটা এবং গোপনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্ব নিয়ে অনেক ভুল কথা ছড়িয়েছে।
আমি সব কিছু খোলাখুলি জানাতে চাই।
সবার প্রথমে, আমি আপনাদের জানাতে চাই যোগাযোগের গোপনীয়তাকে আমরা কতটুকু গুরুত্ব দেই। এবং আমার জন্য এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার জন্মস্থান ইউক্রেন, এবং আমি ১৯৮০ এর USSR এর মধ্যে বেড়ে উঠেছি। যে স্মৃতিটি আমার সবথেকে বেশি মনে আছে সেটি হল ফোনে কথা বলার সময়ে আমার মা প্রায়ই বলত: “এটা ফোনে বলার মত কথা না; সামনাসামনি দেখা হলে বলব।” কিশোর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পেছনের একটি বড় কারণ হল KGB আমাদের সব যোগাযোগ মনিটর করছে এই ভয়ে আমরা অবাধে কথা বলতে পারতাম না।
আপনার গোপনীয়তার প্রতি সম্মান আমাদের ডিএনএতে আছে, এবং আমরা WhatsApp বানিয়েছিও এই কথাই ভেবে যে আমরা যত কম সম্ভব তত কম জানব: আমরা আপনার কাছে আপনার নাম জানতে চাই না এবং আপনার ইমেইল ঠিকানাও আমাদের জানানোর প্রয়োজন নেই। আমরা আপনার জন্মদিন জানি না। আপনার বাড়ির ঠিকানাও জানি না। জানি না কোথায় আপনি কাজ করেন। আপনার কি পছন্দ, ইন্টারনেটে আপনি কি সার্চ করেন অথবা আপনার GPS অবস্থানও জানি না। এসব কোন ডেটাই WhatsApp এ কখনই সংগ্রহ বা সংরক্ষণ কোনটাই করে হয় না, এবং সেটি বদলানোর কোন ইচ্ছা আমাদের নেই
যদি Facebook এর সাথে অংশীদারিত্বের কারণে এসব বদলাতে হত তবে আমরা সেটি করতাম না। এর পরিবর্তে আমরা এমন একটি অংশীদারিত্ব তৈরি করেছি যা আমাদেরকে একক ও স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ও বিশ্বাস কখনই পরিবর্তিত হবে না। যেসব কারণে ব্যক্তিগত ম্যাসেজিং এ WhatsApp এর নাম করেছে সবই অপরিবর্তিত থাকবে। এসব আকাশপাতাল ধারণা করা শুধুমাত্র ভিত্তিহীনই নয়, দায়িত্বহীনতারও পরিচয় দেয়। এতে মানুষ ভয় পেয়ে ভাবতে পারে আমরা এসব ডেটা সংরক্ষণ শুরু করেছি। এগুলো সত্য নয়, এবং আমাদের কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি ব্যাপারটি ঠিকভাবে জানুন।
ভুলে যাবেন না: Facebook এর সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্ব আমাদের মূল লক্ষ্যে কোন পরিবর্তন আনবে না। আমাদের লক্ষ্য একই আছে, WhatsApp কে চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া যেন পৃথিবীর মানুষ নির্ভয়ে অবাধে তাদের মনের কথা বলতে পারে।
১৭ মার্চ, ২০১৪