WhatsApp আপনার ডেটা ও যোগাযোগকে যতদূর সম্ভব নিরাপদ রাখাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে। আজকে, আমরা আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে আমারা এমন একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করেছি যা WhatsApp কে আপনার ব্যক্তিগত যোগাযোগকে নিরাপদে রাখার জন্য যারা কাজ করে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে: দুই দিক থেকে সম্পূর্ণ এনক্রিপশান। এখন থেকে যখন আপনি এবং আপনার পরিচিতিরা অ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করবে, পাঠানো প্রত্যেকটি কল, বার্তা, ফটো, ভিডিও, ফাইল ও ভয়েস বার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দুই দিক থেকে এনক্রিপশানের মাধ্যমে নিরাপদ থাকবে, এমনকি আপনার গোষ্ঠী চ্যাটও।

আইডিয়াটি খুবই সাধারণ: যখন আপনি কোন বার্তা পাঠাবেন, শুধুমাত্র যাকে বা যেই গোষ্ঠীতে পাঠিয়েছেন তারাই সেটি পড়তে পারবে। অন্য কেও বার্তায় কি আছে সেটি জানতে পারবে না। সাইবার অপরাধীরা না, হ্যাকাররা না, এমনকি আমরাও না। দুই দিক থেকে এনক্রিপশান WhatsApp এর মাধ্যমে যোগাযোগকে গোপন রাখতে সাহায্য করে – অনেকটা সামনাসামনি কথা বলার মতই।

কিভাবে দিও দিক থেকে এনক্রিপশান কাজ করে সে সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে, এ সম্পর্কে এখানে পড়তে পারেন। তবে আপনার জন্য এটুকু জানাই যথেষ্ট যে দুই দিক থেকে এনক্রিপ্টেড বার্তা খালি আপনি যেই প্রাপককে পাঠাতে চান সেইই পড়তে পারবে। এবং আপনি যদি WhatsApp এর সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করেন, তবে আপনাকে বার্তা এনক্রিপ্ট করার জন্য আলাদা করে কিছুই করতে হবে না: দুই দিক থেকে এনক্রিপশান সবসময় সক্রিয়।

আমরা এমন একটি জগতে বাস করি যেখানে সব ডেটাই ডিজিটাল করা হচ্ছে। প্রতিদিন আমরা এমন অনেক কাহিনী শুনই যেখানে স্পর্শকাতর রেকর্ড অযাচিত ভাবে অ্যাক্সেস করা হচ্ছে বা চুরি করা হচ্ছে। এবং, যদি কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আগামী বছরগুলোতে আরও অনেকের ডিজিটাল তথ্য আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। সৌভাগ্যবশত, এসব ঝুঁকি থেকে দুই দিক থেকে এনক্রিপশান আমাদের রক্ষা করে।

এই নতুন ডিজিটাল যুগে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার, বিভিন্ন সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এনক্রিপশানকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। কিছুদিন ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন কাজ ও এনক্রিপশান নিয়ে অনেক কথা চলছে। আমরা মেনে নেই সবাইকে নিরাপদ রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে, তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এনক্রিপটেড না করলে সাধারণ মানুষের ডেটা সাইবার অপরাধী, হ্যাকার ও খারাপ মানুষের হাতে পড়বে।

যোগাযোগকারী প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে WhatsApp ই প্রথম যারা সম্পূর্ণ এনক্রিপশান এনেছে, যা সবকিছুর জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চালু থাকে, আমরা আশা করব এটিই হবে ভবিষ্যতের ব্যক্তিগত যোগাযোগের প্রতীক।

মানুষের গোপন যোগাযোগকে রক্ষা করা WhatsApp এর মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। এবং আমার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যক্তিগত। আমি বড় হয়েছি USSR যখন সেখানে কমিউনিস্টরা শাসন করত এবং যেহেতু মানুষ সেখানে প্রকাশ্যে মত প্রকাশ করতে পারত না সেজন্য আমার পরিবার আমেরিকাতে চলে আসে।

আজকে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ WhatsApp ব্যবহার করছে তাদের বন্ধু ও পরিবারের সংস্পর্শে থাকার জন্য। এবং তাদের সবাই WhatsApp এর মাধ্যমে স্বাধীন ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারে।

ইয়ান এবং ব্রায়ান