১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩
কয়েক বছর আগে, আমি ও আমার বন্ধু ব্রায়ান কেবল একটিমাত্র উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে একটি মেসেজিং পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই: সেটি ছিল, ব্যবহারকারীকে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা দান। এ কথা হলফ করে বলতে পারি, যদি আমাদের দলের ইঞ্জিনিয়ার মেসেজিংকে দ্রুত, সহজ এবং ব্যক্তিগত করে তুলতে পারে, তাহলে অন্যান্য বহু মেসেজিং পরিষেবার মতো বিরক্তিকর ব্যানার বিজ্ঞাপন, গেম প্রচারণা, কিংবা অন্যান্য সমস্তরকম বিভ্রান্তকর 'ফিচার'-এর উপর নির্ভর না করেই আমরা সরাসরি ভাবে পরিষেবার মাধ্যমেই লোকজনের থেকে অর্থ সংগ্রহ করব।
বর্তমানে, এ কথা ঘোষণা করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত যে, কেবলমাত্র আপনাদের জন্যই WhatsApp এমন একটি মাইলস্টোনে পৌঁছতে পেরেছে যা অন্য কোনো মোবাইল মেসেজিং পরিষেবার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হয়নি: WhatsApp-এর এখন মাসিক ৪০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী, এছাড়াও গত চার মাসে আরও ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। এটা WhatsApp-এ সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া মানুষের হিসেব নয় - প্রতি মাসে এই পরিষেবা যত সংখ্যক মানুষ সক্রিয় ভাবে ব্যবহার করেন তার হিসেব।
এ কথা আমরা আক্ষরিক অর্থেই বলছি যে, এটা আপনাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। WhatsApp-এর কেবল ৫০ জন কর্মী, যার অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়ার। আমরা টার্গেটেড বিজ্ঞাপন কিংবা মার্কেটিং প্রচারণায় এক ডলারও খরচ না করেই এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। আমরা এখানে পৌঁছেছি তাদের জন্য যারা নিজের WhatsApp স্টোরি তাদের বন্ধু, সহকর্মী এবং প্রিয়জনের সাথে ভাগ করে নেন - যা শুনতে আমাদের ভালো লাগে।
একবার নিউজিল্যান্ডের একজন মহিলা তার PhD শেষ করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। ঘরে ফেরার ঠিক এক সপ্তাহ আগে, তার স্বপ্নের পুরুষটির সাথে তার দেখা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রায় ১০০০ মাইল দূরে থাকা সত্ত্বেও WhatsApp তাদেরকে আগের চেয়েও কাছাকাছি থাকার অনুভূতি জুগিয়েছিল।
উগান্ডায় দাতব্য প্রতিষ্ঠান চালান এমন একজন ব্রিটিশ মহিলার কাছ থেকেও আমরা তার অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তার দল যেসব শিশুদের সাহায্য করে, সরজমিনে থাকাকালীন তাদের রোজকার রিপোর্ট, ছবি, ভিডিও পাঠাতে WhatsApp ব্যবহার করা হয়, যা সংগঠনের জন্য সহায়তা পেতে তিনি গোটা বিশ্বের সাথে ভাগ করে নেন।
ভারতীয় চিকিৎসকরা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের ছবি সঙ্গে সঙ্গে পাঠানোর জন্য WhatsApp ব্যবহার করেন, যা মুল্যবান সময় বাঁচায়, সম্ভাব্যভাবে হয়তো জীবনও। মাদ্রিদের পর্বতে,, নিখোঁজ ভ্রমণকারীদের শনাক্ত করা ও বাঁচানোর জন্য উদ্ধারকারীরা WhatsApp ব্যবহার করেছেন। এবং আজ, যেখানে আমি জন্মেছি ও ষোলো বছর পর্যন্ত কাটিয়েছি, সেই ইউক্রেনের উন্মোচিত রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আমি যতটা বুঝি, তার ভিত্তিতে আমি কোনো সহায়তা করতে না পারলেও কেবল আশা করতে পারি যেন এই সার্ভিসকে ব্যবহার করে নিজের মনের কথা বলতে পারার এবং মৌলিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার বিষয় নিয়ে পরের বিশেষ WhatsApp স্টোরিটি হয়।
WhatsApp-এর মাধ্যমে যে কোনো অঞ্চলের, যে কোনো মানুষকে প্রযুক্তি ও যোগাযোগের বিষয়ে ক্ষমতাশীল করে তোলাই এটি তৈরির উদ্দেশ্য। আমরা ছোট ছোট্ট উপায়ে মানুষের জীবনের উন্নতি করতে চেয়েছিলাম। এটি সম্ভবপর করে তোলার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের স্টোরি ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং অনুগ্রহ করে তা জারি রাখুন - WhatsApp-কে পরবর্তীতে কোন কাজে ব্যবহার করবেন তা জানার জন্য উদগ্রীব রইলাম।